ছেলে। মা, ওই বাজে শোন ঈদের বাঁশি-
শরচ্চন্দ্রের কতই হাসি!
মা। খোকা, তোর লাগি প্রাণ আকুল করে-
বড়ই- নিঃস্ব আমি এ বিশ্বভরপুরে।
ছেলে। মাগো, তোমায় আমি করব জ্বালা-
এ ভেবে মন করো না কালা।
মা। খোকা, তুই যে আমার অবোধ ছেলে-
তাই তো আমার হৃদয় জ্বলে।
ছেলে।মা, তুমি আমায় দোয়া কর-
এটুকু মোর ঈদের বড়।
মা। খোকা, বর্ষ পরে এ এক খুশির পর্ব-
তার থেকেও তোরে বঞ্চিত করব?
ছেলে। মা, দীন-দুঃখীদের পর্ণনীড়ে-
খুশির আবার পর্ব কিরে!
মা। খোকা, তোরে আমি দোয়া করি-
ধনে-জনে হোক তোর সোনার ভব- সোনার বাড়ী।
ছেলে। মা, এ তো মোর পরম পাওয়-
জীবনে নাইবা বহুক দুখের নভে সুখের হাওয়া।
মা। খোকা, যা পাস্ তিলেক তাতে তুষ্ট থাকিস-
তায় দিয়ে ঐ স্বর্গ রচিস।
ছেলে। মাগো, তোমার আদেশ নয়ন করে-
রাখব স্মরণ শিরে ধরে।
২ শ্রাবণ, ১৪০৯-
কাঞ্চন নগর, চট্টগ্রাম।